,

ভারতে গরুর মাংস গুজবে মুসলিম বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

সময় ডেস্ক ॥ ভারতের দিল্লিতে বাড়িতে গরুর গোস্ত রাখার গুজবে মোহাম্মদ আখলাক (৫৫) নামে এক মুসলিম বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র হিন্দুরা। এসময় উচ্ছৃংখল গ্রামবাসির হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে তার ছেলে (২২)। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে দিল্লি থেকে ৪৫ কি.মি দূরে উত্তর প্রদেশের দাদরিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আখলাকের পরিবার বাড়িতে ভেড়ার মাংস রেখেছিলেন। কিন্তু গুজব ছড়ানো হয় তার বাড়িতে গরুর মাংস রাখা হয়েছে। এ গুজব ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছৃংখল গ্রামবাসি আখলাক ও তার ছেলেকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আখলাক নিহত হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে তাদের নির্মমভাবে গণপিটুনি দিচ্ছে উচ্ছৃংখল জনতা। এ ঘটনায় এলাকায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার আশঙ্কা বিরাজ করছে। পুলিশ জানায়, প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ ওই মুুসলিম পরিবারটি এ গ্রামে বসবাস করে আসছে। আহত আখলাকের পরিবারের দাবি, তারা ফ্রিজে ভেড়ার মাংস রেখেছিল। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য মাংস জব্দ করেছে পুলিশ। কারা এমন গুজন ছড়িয়েছে তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করার পর বাকিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিনিয়র পুলিশ অফিসার এস কিরন আরও জানায়, আমরা যেটা জানতে পেরেছি গরুর মাংস কেনার কারণে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতারের ঘটনায় ওই গ্রামে পুলিশের সাথে গ্রামবাসির সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর আগেও শিলচরের একটি মন্দিরের সামনে মাংস মিলেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে মেলা মাংসের টুকরো পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটা আদৌ গোমাংস নয়। এদিকে আসামের অন্য প্রান্তে ধুবড়ি জেলাতেও একটি মন্দিরের সামনে প্রায় অনুরূপ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত তিন-চারদিন ধরে তীব্র সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলছে। শনিবার থেকেই সেখানে চলছে অনির্দিষ্টকালীন কারফিউ যা এখনও প্রত্যাহার করা যায়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর